কুমিল্লায় রেল দুর্ঘটনা। হতাহতের আশঙ্কা

 কুমিল্লায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা পাঁচ বগি ক্ষেতে, হতাহতের আশঙ্কা। 





ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের অভিজাত ট্রেন ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। রবিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সোনার বাংলা ট্রেনের ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি এবং মালবাহী ট্রেনের ২টি বগিসহ সাতটি লাইনচ্যুত হয়ে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে যায়। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। 

তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। রাতে এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার পর চট্টগ্রামের সঙ্গে দেশের সকল ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।


আহতদের বেশ কয়েকজনকে নাঙ্গলকোট স্বাস্থ্য কপ্লেক্সসহ বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা দেয়া হয়।


লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি জসিম উদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনে মালবাহী একটি ট্রেন দাঁড়ানো ছিল। ওই মালবাহী ট্রেনের লাইনেই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের আপ ট্রেনটি ঢুকে পড়ে। এসময় সোনার বাংলা ট্রেনটি মালগাড়ির উপড়ে উঠে পড়ে এবং সাথে সাথেই এর ইঞ্জিনসহ ৫টি বগি রেল সড়কের দুইপশে ছিটকে পড়ে যায়।  


নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ের এক কর্মচারী বলেন, স্টেশন থেকে সিগনাল ঠিক না করায় এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। যে লাইণে একটি মালগাড়ি রয়েছে সে লাইনেই যাত্রীবাহী ট্রেনটি কীভাবে ঢুকে। স্টেশন কর্তৃপক্ষের অবহেলাই এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।


জানা গেছে লাকসাম ও কুমিল্লা থেকে রাতে রেল কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। চট্টগ্রাম থেকেই একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রওনা দিয়েছেন।


ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোনার বাংলা ট্রেনটি হাসানপুর স্টেশনে থেমে থাকা কনটেইনার মেইল ট্রেনকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার বলেন, সোনার বাংলা ও মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে।


এ দুর্ঘটনায় অর্ধশতের মতো যাত্রী আহত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আহতদেরকে স্থানীয় ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ভেড়ামারায় পরকীয়ার জের ধরে পিটুনির শিকার রক্তাক্ত জখমী বৃদ্ধ নিখোঁজ



রোববার রাত তিনটার দিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত রামচন্দ্রপুরে এক বাড়িতে পরকীয়া সম্পর্কের সূত্র ধরে অপ্রীতিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়া ‌আবুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি মেয়ের পরিবারের লোকজনের হাতে গণপিটুনির শিকার হয়।  সে ঘটনাস্থলে মারপিটে আহত হয় বলে বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে আবুল কাশেম এর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ‌ সম্ভাব্য স্থানগুলোতে খোঁজ করে ‌আবুল কাশেমের কোনরূপ সন্ধান না পাওয়ায় এলাকায় বিভিন্ন ধরনের গুজবের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে পরস্পর  বিরোধী বক্তব্য শোনা যাচ্ছে। আবুল কাশেমের বয়স  ৬০ বছর। শনিবার রাতে তারাবির পরে সে ওই বাড়িতে যায়। সেখানে অবস্থানকালে গভীর রাতে সে পরিবারের সদস্যদের দ্বারা আক্রান্ত হয়। টর্চ লাইট দিয়ে তার মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করা হয়। এতে সে রক্তাক্ত জখম হয় বলে এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়। ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলামের নির্দেশে এসআই মিন্টু সঙ্গীয় ফোর্স সহ‌ রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে আবুল কাশেম এর নিখোঁজ ঘটনার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীদের মুখ থেকে বিভিন্ন ধরনের কথা শোনা যাচ্ছে। কেউ বলছে  আবুল কাশেম মারা গেছে। কেউ বলছেন তাকে গুম করা হয়েছে।‌ আবার মেয়ে পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, আবুল কাশেম আত্মগোপনে রয়েছে। এ ব্যাপারে আবুল কাশেমের ছেলে সুমন কিছুক্ষণ আগে ভেড়ামারা থানায় উপস্থিত হয়ে তার পিতার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার বিষয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। ভেড়ামারা থানা পুলিশের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, ঘটনাটির বিষয়ে তদন্ত চলছে। ‌ তবে আবুল কাশেম এর কোন ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন না থাকায় তার খোঁজ এখন পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে জানার জন্য উক্ত এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড মেম্বার জিয়ার মোবাইল নম্বরে ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি। ‌ ঘটনার বিষয়ে উক্ত এলাকার গ্রাম পুলিশ মারপিটের বিষয়টি সত্য মর্মে সাংবাদিকদের‌ প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন। আবুল কাশেম অষ্টম শ্রেণীর একজন ছাত্রীর সাথে অপ্রীতিকর অবস্থায় ধরা পড়েছে মর্মে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ভেড়ামারায় এস আই বি এল এর উপ শাখার উদ্বোধন

আজ বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এসআইবিএল এর উপ শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভেড়ামারা উপজ...

সংবাদ সর্বক্ষণ