সুন্দরবন মানেই যেন করমজল

করমজল ।। মোংলা সমূদ্র বন্দরের খুবই নিকটে অবস্থিত একটি পর্যটন কেন্দ্র। পার্শ্ববর্তী জনপদ মোংলা পৌর এলাকার খুবই নিকটবর্তী হওয়ায় এটিই দেশী-বিদেশী পর্যটকদের প্রথম পছন্দের জায়গা।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট হওয়ায় অনেকের্ পক্ষেই সম্ভব হয় না পুরো বনাঞ্চলটি ঘুরে ঘুরে দেখা।যাওয়া হয়না হিরণ পয়েন্ট পর্যন্ত। দেখা হয় না চাদপাই রেঞ্জ, টাইগার পয়েন্ট, নীল কমল ইত্যাদি। বেশিরভাগ দর্শনার্থীরাই তাই ফিরে আসেন করমজল থেকেই।
আর করমজল পর্যন্ত গেলেই সুন্দরবন ভ্রমণের পূর্ণ তৃপ্তিটাই যেন পরিতৃপ্তিতে রুপান্তরিত হয়। এখানে হরিণ, বানর, কুমির এবং বাঘের দেখা মিলবে। বন বিভাগ স্থানটির গুরুত্ব বিবেচনায় একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলেছে এখানে। এখানে অবস্থিত টাওয়ারে আরোহন করে দৃষ্টিসীমার মধ্যে দূরের বন দেখা যায়। গোলপাতার সাথে মিতালী করেন অনেকেই। সুন্দরবনের পরিচিত বৃক্ষরাজিরও একটি বড় সমাহার এখানে বিদ্যমান। নৌকা (ইঞ্জিন চালিত)সহ অন্যান্য নৌযানে মোংলা থেকে এখানে আসতে হয়। ছোট্র একটা নৌভ্রমনও হয়ে যায় এখানে আসতে ও যেতে। যাত্রা পথে বানিয়াশান্তা নামে একটি যায়গার দিকে পর্যটকদের দৃষ্টি পড়ে। পশুর ও মোংলা নদীর বড় বড় ঢেউ, জোয়ার ও ভাটা পর্যটকদের মনযোগ কাড়ে। দর্শনীর বিনিময়ে পর্যটন কেন্দ্রটি ঘুরে ঘুরে দেখা যায়। বিদেশী পর্যটকদের জন্য অতিরিক্ত দর্শনী ফি নেয়া হয়। সুন্দরবন আরো গভীরতম বন হলেও সময় স্বল্পতা, যাতায়াতের দূষ্প্রাপ্য ব্যবস্থাসহ নানা সীমাবদ্ধতার কারনে এই পর্যন্ত এলেই আসলে সুন্দরবন ভ্রমনের অভিজ্ঞতার ভান্ডারে মূল্যবান সুখকর স্মৃতির জন্ম হয়। খুলনা থেকে মোংলা-রুপসা সড়কের একবারে শেষ প্রান্তে মোংলা নদী পর্যন্ত পৌঁছানোর পর নদীপথে করমজল অভিমুখে যাত্রা শুরু করতে হয়। দিনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় এখানে ব্যায় করলেই ভ্রমন পূর্ণ করে লোকালয়ে ফিরে আসা যায়।সুন্দরবন দেখতে গেছেন আর করমজল যাননি এমন বাঙালী হাতেগোনা। সব মিলিয়ে তাই মনে হওয়ার যথেষ্ট কারন জন্মায় যে, সুন্দরবন মানেই যেন করমজল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ভেড়ামারায় এস আই বি এল এর উপ শাখার উদ্বোধন

আজ বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এসআইবিএল এর উপ শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভেড়ামারা উপজ...

সংবাদ সর্বক্ষণ