প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে মুখর ভেড়ামারা

 শীর্ষ স্থানীয় একটি জাতীয় সংবাদপত্রে আওয়ামীলীগ ও জাসদকে দোষারোপ করে মনগড়া প্রতিবেদনের প্রতিবাদ এবং প্রাসঙ্গিক দু’টি কথা

মনোয়ার হোসেন মারুফ #



“কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় মিলে মিশে পদ্মার বালু উত্তোলন” শিরোনামে গতকাল মঙ্গলবার একটি শীর্ষ জাতীয় দৈনিকে প্রথম পাতায়, “ইজারা ছাড়াই তিন ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ ও জাসদের নেতারা মিলে প্রতিদিন অবৈধভাবে মাটি ও বালু তুলছেন বলে অঅভিযোগ পাওয়া গেছে” মর্মে সূচনা বক্তব্য দিয়ে একটি ফরমায়েশি প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে দেখা গেঝে। উক্ত প্রতিবেদনের বিষয়টি জানাজানি হলে পত্রিকাটির স্থানীয় পাঠক ও আওয়ামীলীগ এবং জাসদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। প্রতিবেদনে ধান ভানতে শীবের গীত গাওয়া হয়েছে। স্থানীয় শাসক দলগুলোর নাম উল্লেখ করে দলীয় বদনাম করা হলেও উক্ত দল দুটির কোন পর্যায় থেকে বালু তোলার নির্দেশ এসেছে তার উল্লেখ করেননি প্রতিবেদক।এহেন বক্তব্যধর্মী বিশাল প্রতিবেদনে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও জাসদের উপজেলা কমিটির সভাপতি-সাধারন সম্পাদকের বক্তব্য নেওয়ার দরকার থাকলেও প্রতিবেদক তাদের বক্তব্য গ্রহন বা প্রকাশের বিষয়টিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেমালুম চেপে গেছেন। ভাল্লুকের হাতে খুন্তি গেলে যেমনটা হয় প্রতিবেদক ঠিক তেমনভাবে তার প্রতিবেদনে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নামে বিষোদগার করা ছাড়াও শ্রমিক ইউনিয়নের নামেও বিষোদগার করেন। তিনি ভেড়ামারা উপজেলার ৩/৪ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করেছেন। কে কার নামে সাইট দেখাশোনা করছে সেই বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তবে তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রত্যক্ষ কোন প্রমান দিতে পারেননি। 

ভেড়ামারার কয়েকটি স্থান থেকে বালু উত্তোলন হচ্ছে একথা সত্য। তবে এর সাথে কারা জড়িত সে বিষয়ে অনুসন্ধানটি বস্তুনিষ্ঠ রুপে উপস্থাপিত হয়নি। এতে পত্রিকাটির ভাবমূর্তি স্থানীয় সচেতন মহলে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। 

উল্লেখ্য, মাটি ও বালু উত্তোলনের প্রতিবেদনে নানা অসঙ্গতি, তথ্য ঘাটতির সাথে মূল বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য অপ্রাসঙ্গিক তথ্যের অবতারনা করেছেন প্রতিবেদক। যেমন তিনি প্রতিবেদনের এক জায়গায় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও খুনোখুনির বিষয়ে লিখেছেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, বর্তমান মাটি ও বালু উত্তোলনের ঘটনার সাথে হত্যাকান্ডের কোন সম্পৃক্ততা নেই। বিষয়টিকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিবেদকের এই কৌশল অবলম্বন সুস্থ্য সাংবাদিকতার দর্শনের সাথে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন বিদগ্ধ পাঠককুল। সব মিলিয়ে উপসংহারে বলা যায়, প্রতিবেদনে চমক আছে কিন্তু বস্তু নেই।ঘটনাকে পূঁজি করে দোষারোপ সীমা ছাড়িয়ে গেছে। রাজনৈতিক দল, শ্রমিক ইউনিয়নসহ সম্মানিত ও নির্দোষ ব্যক্তিবর্গকে খামোখা হেয় প্রতিপন্ন করাটাই যেন কোন প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য না হয়। এব্যাপারে সংশ্লিষ্টদেরকে সচেতন থাকা উচিত। এমনটাই অভিমত সচেতন সমাজের।

এদিকে ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা এব্যাপারে একটি প্রতিবাদ লিপি  স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট সরবরাহ করেছেন। প্রতিবাদলিপিতে উক্ত নেতার স্বাক্ষর আছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ভেড়ামারা উপজলো শাখার প্যাডে লিখিত প্রতিবাদলিপি হুবহু নিম্নে তুলে ধরা হলো-

“গতকাল মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকে “আ’লীগ ও জাসদ নেতারা মিলেমিশে পদ্মার বালু লুট” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আমাকে জড়িয়ে যে তথ্য প্রকাশ করেছে, যা শতভাগ ভিত্তিহীন, মিথ্যা বানোয়াট ও অসত্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কোন স্বার্থান্বেষী মহল প্রতিবেদককে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করিয়ে আমার পারিবারিক, সামাজিক ও সুদৃঢ় রাজনৈতিক ভাবমূর্তি কালিমা লিপ্ত করতে নানামুখী অপতৎপরতা ও গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সঙ্গত কারনেই আমি (আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা) অত্যন্ত দ্ব্যার্থহীনভাবে কথিত বালু উত্তোলনের সাথে আমার সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি প্রকাশিত প্রতিবেদনের অভিযোগ সমূহের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

এছাড়া ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আক্তারুজ্জামান মিঠু সন্ধ্যায় ভেড়ামারা প্রেসক্লাবে একই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ভেড়ামারায় এস আই বি এল এর উপ শাখার উদ্বোধন

আজ বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এসআইবিএল এর উপ শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভেড়ামারা উপজ...

সংবাদ সর্বক্ষণ