ভেড়ামারা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হীরক জয়ন্তী উদযাপন নিয়ে নানা গুঞ্জন

 ভেড়ামারা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠান নিয়ে নানা গুঞ্জন

আগামী ২৮শে জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে স্থানীয় একটি ফুড পার্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তীর অনুষ্ঠান। কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় হলো এই যে, এই তথাকথিত অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে কোন কিছুই অবগত নন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হক। জানা গেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পাশ কাটিয়ে একটি মহল নিজেদের  স্বার্থে একতরফাভাবে হীরক জয়ন্তীর উদযাপনের তারিখ ও ভেন্যূ নির্ধারন করেছে। এই খবরে এলাকায় ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। 



বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এই হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে একটি মনগড়া কমিটি করে অর্থ সংগ্রহ করেছে। এই অর্থ ঠিক মত ব্যাংকে জমা প্রদান না করে নিজেদের কাছে তা রেখে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জন প্রতি ১ হাজার টাকা করে মোট ৪৪২ জন প্রাক্তন ছাত্রী রেজিষ্ট্রেশন করিয়েছেন। কিন্তু রুপালী ব্যাংক লিঃ ভেড়ামারা শাখার ব্যাংক স্টেটমেন্ট সূত্রে জানা যায়, ২৪ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে HEROK JOYONTEE GOVT BHERAMARA SEC GIRLS SCHOOL নামে একটি সঞ্চয়ী হিসাব যাহার নম্বর 5371010006864 ৩০ জুন ২০২২ তারিখে ১ম ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮৪৩ টাকা জমা দেয়া হয়। এরপর কয়েক দফা ১১ ই জানুয়ারী ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত উক্ত হিসাবে ২ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৪৭ টাকা ব্যালান্স ছিল। 

ব্যাংকের উক্ত একাউন্টকে পূঁজি করে হীরক জয়ন্তীকে উপলক্ষ করে এবং বিদ্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে সহজ=সরল মানুষদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সূত্র গুলো জানাচ্ছে, ১৪ ই আগষ্ট ২০১৯ তারিখে  ১০ সদস্য বিশিষ্ট হীরক জয়ন্তী উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ভেড়ামারার সম্ভ্রান্ত, শিক্ষিত ও সম্মানিত ব্যক্তিদের নাম থাকলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অংশগ্রহন নেই। এমতাবস্থায় এই কমিটি গত ১১ ই জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে ব্যাংক থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে ২৮ জানুয়ারী অনুষ্ঠানের দিন ঘোষনা করে। উক্ত অনুষ্ঠান বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে না করে ভিন্ন একটি স্থানে করা রহস্যের জন্ম দিয়েছে। এব্যাপারে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, হীরক জয়ন্তী উদযাপনের বিষয়ে তিনি কোন কিছু জানেননা। অফিসিয়ালি কোন কাজ সম্পন্ন করা হয়নি। কে কিভাবে কোন স্থানে স্কুলের নাম ভাঙিয়ে কোন অনুষ্ঠান করলে আমরা কোনভাবেই তার দায়-দায়ীত্ব নেবোনা। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ারা পারভিন বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করেনি আয়োজক কমিটি। অনুষ্ঠানটি অংশগ্রহনমূলক না হওয়ায় আমরা এতে সম্মতি দিতে পারছি না। তাছাড়া অনুষ্ঠান আযোজনকে ঘিরে কমিটির সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয়েছে।হিীরক জয়ন্তী উদযাপন কমিটির নীরিক্ষা কমিটির আহ্বায়ক রুখসানা লাকি’র মুখোমুখি হলে তিনি এ সংক্রান্ত কোনরুপ হিসাব-নিকাশ বা জমা-খরচ তার কাছে নেই বলে প্রতিবেদককে জানান। ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজের সাথে মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ সংক্রান্তে তাকে একটি আমন্ত্রণপত্র দেয়া হয়েছে। তবে এর বেশি কিছু তিনি জানেন না। 

এদিকে নিজেদেরকে আয়োজক দাবি করে ২৮ তারিখের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে বেড়াচ্ছে মর্মে জানা গেছে। অন্যদিকে উক্ত বিদ্যালয়ের নামে ফেসবুক আইডি খুলে তাতে হীরক জয়ন্তীর অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। এব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ফেসবুকে তাদের কোন আইডি নাই। কে কিভাবে ফেসবুকে বিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে তা তাদের জানা নেই।


সব মিলিয়ে ভেড়ামারার ঐতিহ্যবাহী ও সদ্য সরকারিকরণের আওতায় আসা ভেড়ামারা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দিকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের বিশেষ নজর দেয়ার প্রয়োজনীয়তার তাগিদ অনুভব করছেন সচেতন মহল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ভেড়ামারায় এস আই বি এল এর উপ শাখার উদ্বোধন

আজ বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এসআইবিএল এর উপ শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভেড়ামারা উপজ...

সংবাদ সর্বক্ষণ