বিমান দুর্ঘটনায় পাইলট দম্পতির মৃত্যু

১৬ বছর আগে স্বামী দীপক প্রকরাইল যিনি পেশায় ছিলেন একজন পাইলট এক বিমান দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।

স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী অঞ্জু পাইলট হবার সংকল্প করেন ও স্বপ্ন দেখতে থাকেন। পাইলট হিসাবে প্রশিক্ষণ নেবার জন্য তিনি বিদেশ গমন করেন। এই সপ্তাহে নেপালে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়া ইয়েটি বিমানের কো পাইলট ছিলেন অঞ্জু। বিমানটি আর ১০ সেকেন্ড পর অবতরণ করার কথা ছিল। বিমানটিরা নয়তো অবতরণ করলেই অঞ্জু ও পাইলট থেকে প্রমোশন পেয়ে হয়ে যেতেন পাইলট। আর এই স্বপ্ন পূরণের ঠিক আগ মুহূর্তে স্বামীর মত পরিণতিই বরণ করলেন নেপালের সেই প্লেনের কো-পাইলট। ১৬ বছরের ব্যবধানে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় পাইলট দম্পতির মৃত্যুর মর্মস্পর্শী ইতিহাসের সৃষ্টি হল।




নেপালে ভয়াবহ প্লেন দুর্ঘটনায় ছয় নবজাতক ও শিশুসহ অন্তত ৬৮ জন নিহত হয়েছে। রবিবার দেশটির পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭২ জন আরোহী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইনসের অভ্যন্তরীণ একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।


এই ফ্লাইটে কো-পাইলট ছিলেন অঞ্জু খাটিবাডা। আর মাত্র কয়েক সেকেন্ড বাদেই পূরণ হত তার স্বপ্ন। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এই উড্ডয়ন সম্পূর্ণ করলেই তিনি পাইলট পদে উন্নীত হতেন। কিন্তু তার সেই লক্ষ্য অধরাই থেকে গেল। বহু যাত্রীর সঙ্গে প্রাণ হারালেন তিনিও।


১৬ বছর আগে, তিনি তার স্বামী দীপক পোখরেলকে হারান এ রকম এক বিমান দুর্ঘটনায়। তার স্বামীও ইয়েতি এয়ারলাইন্সের কো-পাইলট ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর, তার অধরা স্বপ্নকেই নিজের লক্ষ্যে পরিণত করেন অঞ্জু। জীবনের দিশা বদলে ফেলেন। আমেরিকায় গিয়ে পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নেন। ফিরে এসে যোগ দেন ইয়েতি এয়ারলাইন্সে। কিন্তু রবিবার থেমে গেল তার সেই যাত্রা।

বিমান দুর্ঘটনায় পাইলট দম্পতির এই মৃত্যু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ভেড়ামারায় এস আই বি এল এর উপ শাখার উদ্বোধন

আজ বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এসআইবিএল এর উপ শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভেড়ামারা উপজ...

সংবাদ সর্বক্ষণ