ছায়ানীড়
সানু তাছমিন সাগরিকা
মা!!
তিনি কে জানেন?
যে দশ মাস দশদিন গর্ভে ধারণ করে
অসহ্য যন্ত্রণা সহ্যের পরে একটি শিশুকে
পৃথিবীর আলোকিত মুখ দেখায়।।
বাবা!!
তিনি কে জানেন?
উওপ্ত রোদে ঝালসীত একটি দক্ষ বাহু
যিনি দিন রাত পরিশ্রম করে পরিবারের
মুখে এক চিলতি হাসির ঝলক দেখতে ব্যতিব্যস্ত।।
জিবন চলে সময়ের গতিতে
সময় চলে যায় স্রোতের মত
আঁধার কেটে আলো আসে
কিছু আপনজন বদলায় সময়ের ন্যায়ে
কিন্তু বাবা-মায়ের স্নেহ মমতা
কখনোই শেষ হয়না,স্নেহের রং হয়না
মমতা মাখা ভালোবাসা যেন অনন্তকাল
জুড়ে ঠিক নবজাতক শিশুর মতই রয়।।
বাবা-মা !!
তারা কি জানেন?
শত অভাব অনাটনের মাঝেও
সন্তানের শত আবদার পূরণে অবিচল,
এক চিলতি হাসির মাঝে
লুকিয়ে রাখে মনের হাজারো যন্ত্রনা।।
স্বপ্ন!!
বাবার পরিশ্রমী ঘামে ভেজা শরীরটা
দেখার পরে মনের মাঝে স্বপ্ন গুলো
অনেক লজ্জা পায়,
আর মনের মাঝে উজ্জীবিত স্বপ্নগুলো
অস্থির হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার
একবুঁক আশায় নিশ্চুপ শপথ গ্রহণ করে ।।
শিক্ষক!!
হয়তো জন্মদাতা মায়ের ডিগ্রি না থাকলেও
তিনি সন্তানের জিবনের প্রথম শিক্ষক
কারণ,শিশুর প্রথম বুলি মা,
যা মায়ের মুখের বুলি হতে শেখা
আর সন্তানের পারিবারিক শিক্ষায়
একটি মানুষ স্ব-শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে।।
কষ্ট!!
বাবা-মায়ের কষ্ট কি জানেন?
এত ত্যাগ তিতিক্ষার পরেও যখন
একটি সন্তান বড় হবার পরেও
সেই বাবা মা কে অবমূল্যায়ন করে
এবং যে বাবা মা জিবনের শেষ বয়সে এসে
সন্তানের দিকে তাকিয়ে রয়, একটু সুখের আশায়
কিন্তু পরিবর্তে পায় হাজরো যন্ত্রণা।
অভিশপ্ত সন্তানের জন্য ধিক্কার যারা একটু
সুখের তরে বাবা-মা কে শেষ বেলাতে
বানালে খেলার পুতুল।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন