ভেড়ামারায় সরকারি জমি দখল করে ইট, পাথর, খোয়া, বালির ব্যবসা করার অভিযোগ।
কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য ভেড়ামারা জি. কে ২নং কলোনির সামনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আম বাগান সহ বেশ কিছু সরকারি জমি আছে। সেই জমিকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু ব্যক্তি গড়ে তুলেছেন ইট, পাথর, খোয়া সহ বালির ব্যবসা।
সাধারণ মানুষের কাছে একই প্রশ্ন ঘুরাফেরা করছে কিভাবে সরকারি জমি দখল করে ব্যবসা করছে। এদের কাছে কি কোন অনুমতিপত্র আছে নাকি জবর দখল করে ব্যবসা করছে। এসব জমি দখল করে ব্যবসা করার অনুমতি থাকে তাহলে ঠিক আছে। আর যদি অনুমতি না থাকে তাহলে এসব জমি দখল মুক্ত করা প্রয়োজন মনে করেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ গন।
ভেড়ামারায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সেচাগার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কে বা কাহারা এখানে ইট, বালি, পাথর, খোয়া রেখেছে বা কি কারণে রেখেছে এটা আমার জানা নাই। এখানে সে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হয়েও জানেননা এই জমিটা ইজারা দেওয়া হয়েছে কিনা? এই কর্মকর্তা আরো বলেন, কুষ্টিয়া অফিসের সাথে যোগাযোগ করলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে তার সরকারি বাসভবন থেকে অফিস যেতে হয় এই জমির পাশ দিয়ে। তাহলে তিনি কিভাবে বলে এই সম্বন্ধে সে জানেনা। এখানে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হয়েও সরকারি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কিছুই কি করার ছিল না। উনার এই খামখেয়ালির কারণে নষ্ট হতে চলেছে জমি সহ কিছু ঐতিহ্যবাহী গাছপালা।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন,
এখান থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এসব ব্যবসায়ীরা। এই সব সরকারি জমি উদ্ধার করা হলে এখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় করা সম্ভব এবং প্রশাসন পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি উদ্ধারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন