ভেড়ামারায় বসতে যাচ্ছে মাঙ্গন সাহেব স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর

 কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় আগামী ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি তারিখে দুই দিনব্যাপী বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুল হক মাঙ্গন সাহেব স্মৃতি ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

ভেড়ামারা চলন্তিকা ক্রীড়া চক্রের আয়োজনে এবং  মাঙ্গন কনস্ট্রাকশনের সার্বিক সহযোগিতায় স্বর্নপট্টিস্থ সিকেসি ব্যাডমিন্টন কোর্টে  "মজিবুল হক মাঙ্গন সাহেব স্মৃতি" ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ২য় আসর বসতে চলেছে। প্রাইজ মানি হিসাবে  চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৬০,০০০= টাকা। পক্ষান্তরে রানারআপ দল প্রাইজ মানি হিসাবে পাবে ৪০,০০০/= টাকা। 

আগ্রহীদেরকে অংশগ্রহনের জন্য আমন্ত্রন জাননো হচ্ছে। এন্ট্রি এর জন্য যোগাযোগ ঃঃ  ০১৭১২০৯৮৮৫১



জীবন যুদ্ধ!! একজন সংগ্রামী ব্যক্তির ইতিবৃত্ত

 লিখেছেন সাংবাদিক আজিজুল হাকিম #

জীবন একটা যুদ্ধের ময়দান, এখানে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে বাঁচতে হয়। হার মেনে নেওয়ার নাম জীবন নয়।

লড়াই করে বেঁচে থাকার নামই হলো জীবন।



আজ এখানে আমরা একজন সংগ্রামী ব্যক্তির জীবন যুদ্ধের ইতিবৃত্ত তুলে ধরছি। 

আব্দুল হাই, বাড়ি খাঁড়ারা, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায়। এই বৃদ্ধ বয়সে সে প্রতিদিন জীবিকর জন্য  এক অসম লড়াই করে চলেছে। প্রচন্ড শীত, রোদ -বৃষ্টি- ঝড় অথবা বৈরী আবহাওয়া তাকে কখনো থামাতে পারেনি। প্রতিদিন ছোলার ঘুগনি বিক্রয় করে মেহনত এর মাধ্যমে অর্জিত পয়সায় কোনরকমে সংসার চালায় ও নিত্য দিনের চাহিদা পূরণ করেন। লেখক এর সাথে কিছুক্ষণ আলাপের মাঝে আব্দুল হাই জানালেন, দুইটা ছেলে সন্তান রয়েছে তার। তবে তারা কেউ দেখভাল করেনা তার। কোনপ্রকার খেয়ালও রাখেনা তারা তাদের জন্মদাতার প্রতি।

তবুও এই বৃদ্ধ বয়সে সে ভিক্ষার ঝুলি হাতে না নিয়ে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে সহযোগিতা চেয়ে হাত না পেতে ছুটে চলেছেন তিনি রিজিকের সন্ধানে। 



এই বৃদ্ধ বয়সেও সন্তানগণ কর্তৃক উপেক্ষিত কষ্টকর জীবনে ছোলা সিদ্ধ (স্থানীয় ভাষায় ঘুগনি) এর গামলা মাথায় নিয়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে ক্রেতার খোঁজে তার অবিরাম ছুটে চলা পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। কারো কাছে হাত না পেতে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া আব্দুল হাই এর লড়াইয়ের ইতিবৃত্ত গৌরবময় কোন বিষয় কিনা সে প্রসঙ্গে আমরা যাচ্ছি না। আব্দুল হাই শুধু একা নন। আব্দুল হাইয়ের মত ভাগ্যাহত অনেকেই রিকশা চালিয়ে, মজুরি খেটে জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও সংসারের ঘানি টানতে বাধ্য হন।  সামান্য রোজগারে কোনরকমে খেয়ে, না খেয়ে জীবন অতিবাহিত করেন। জীবনের স্বাদ-আহ্বলাদ এর পরিবর্তে এদের ভাগ্যে জমা হয় চরম অনিশ্চয়তা। রোগ-শোকে চিকিৎসা নেওয়ার সামর্থ্য থেকেও বঞ্চিত তারা। এই যুদ্ধ দারিদ্র্য মোচনের যুদ্ধ নয়। এই যুদ্ধ কোনরকমে টিকে থাকার যুদ্ধ। বর্তমান এই দুর্মূল্যের বাজারে এদের জীবন আরো অনেক অসহায়ত্বের মুখে নিপতিত।  জীবন সংগ্রামী আব্দুল হাইদের জন্য সহমর্মিতা বোধ জাগ্রত হোক  স্বচ্ছল ও বিত্তবানদের হৃদয়ে💓

ভেড়ামারায় রচিত হলো ইতিহাস। মসজিদে জামাতে নারীদের সালাত আদায়

 কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় আজ ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রীষ্টাব্দ শুক্রবার মসজিদে জুম্মার নামাজ জামাতের সাথে আদায় করেছেন নারীরা। প্রথমবারের মতো কোনো মসজিদে পুরুষের পাশাপাশি সালাত আদায়ের ঘটনার মধ্য দিয়ে এখানে সূচিত হলো নব ইতিহাস।  ভেড়ামারা মডেল মসজিদে  আজ জামায়াতের সঙ্গে  জুম্মার নামাজ  আদায় করতে ভেড়ামারার সর্বস্তরের নারীর সমাবেশ ঘটে।  নামাজ আদায়কারী নারীদের অনেকেই দৈনিক ভেড়ামারা ব্লগ স্পট ডট কমকে জানিয়েছেন, তাদের নতুন অভিজ্ঞতার কথা। তারা বলেন,  এই প্রথমবার  ঘরের বাইরে মসজিদে গিয়ে  নামাজ  আদায় করলেন তারা। তাদের অনেক দিনের  চাওয়া ছিল এটি । মহান  আল্লাহ্ পাক বান্দার মনের অজানা কথাও জানেন। ফেসবুক -এ স্ট্যাটাস দিয়ে এই  সুযোগ করে দেয়ায়  পরম করুণাময় এর দরবারে কোটি কোটি শুকরিয়া  আদায় করছেন সম্ভ্রান্ত রমনীকুল‌ এর নেতৃস্থানীয়রা। এত সুন্দর পরিবেশে সালাত আদায় করতে পেরে ভীষণ  আনন্দিত তারা সবাই। তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, ইনশাআল্লাহ  প্রতি জুম্মাতেই উপস্থিত হবেন তারা।  মুসলিম মা - বোনদের প্রাতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে আসুন, জুম্মার দিন একসঙ্গে সবাই  সালাত আদায় করব! উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ চত্বরে দীর্ঘ চার পাঁচ বছরের নির্মাণ কাজ শেষে মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়। ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ এখানে নারীরা জুম্মার নামাজ আদায় করতে পারবেন বলে ঘোষণা দেন। উপজেলা প্রশাসনের আমন্ত্রণে ও উদ্যোগে ভেড়ামারা উপজেলায় কোন মসজিদে প্রথমবারের মতো নারীদের জামাত অনুষ্ঠিত হলো। প্রগতিশীল মুসলিম সমাজ এই সংবাদে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।

                         ভেড়ামারা মডেল মসজিদ


ভেড়ামারার লেখক কবি আসমান আলীর তিনটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত

 সোনা পুড়ে পুড়ে যেমন খাঁটি হয়, লিখতে লিখতে তেমনই সত্যিকারের লেখক হয়ে উঠেছেন বিশিষ্ট কবি লেখক ও গল্পকার ডাঃ মোঃ আসমান আলী।  

একাধিক যৌথ কাব্যগ্রন্হ তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হলেও এককভাবে ভেড়ামারার লেখক কবি আসমান আলীর তিনটি গ্রন্থ প্রকাশিততিনটি একক গল্পগ্রন্থ বের হয়েছে তাঁর। 



তাঁর তিনটি বই ই ব্যাপক পাঠক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ২০২২ সালে কলকাতা বইমেলায় তাঁর লিখা দেনমোহর বইটি সেখানে সাড়া জাগিয়েছে। ২০২৩ সালের অমর একুশে বইমেলা উপলক্ষে এ লেখকের আসছে গল্পগ্রন্থ পথে যেতে যেতে । বইটিতে সাতটি টানটান উত্তেজনাকর গল্প রয়েছে যা পাঠকদের  মনে একদিকে  রসনা যেমন যোগাবে তেমনি বাস্তবতার এক প্রামান্য দলিল হিসেবে সমাজ ও সংসারের প্রাত্যাহিক জীবনে  কাজে আসবে।


এ বইয়ের একটি গল্প সিমকার্ড।  সিমকার্ডের ভুল ব্যবহারে সমাজ- সংসারে কতটা ক্ষতি হচ্ছে এবং এ থেকে বাঁচার উপায়গুলো অতি সাহসিকতার সাথে তুলে ধরা হয়েছে। বিশিষ্ট কবি লেখক ও গল্পকার ডাঃ মোঃ আসমান আলী'র লিখার বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে তিনি যা দেখেন তা সাহসিকতার সাথে তুলে ধরেন যা অনেকেই পারেন না।

পথে যেতে যেতে ঘেঁটে দেখা যায় সামান্য কারণে স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যান। ৪০ বছর পরে দুজন ঘটনাক্রমে একত্রে হলে কেউ কাউকে চিনতে পারেন না। লেখকের ভাষায়,

গাড়ি ছুটে চলেছে আপন গতিতে। বাইরে সবুজের সমারোহ। জীবনের পড়ন্ত বেলায় এসে কেন জানি আশরাফকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। বিয়ের পর যে ঘরে প্রথম উঠেছিলাম অতি সাধারণ অথচ ছিমছাম।  সে ঘরটি চোখের সামনে ভেসে উঠছে।  


আইনতঃ আমরা এখনো স্বামী -স্ত্রী।  কেননা কাগজ- কলমে তো আমাদের আজো ছাড়াছাড়ি হয়নি। ভাবতে ভাবতে কাউন্টারে অসুস্থ লোকটির অসহায়ত্বের কথা মনে পড়লো। আহা এই বয়সে এই মানুষটি ভালো করে খেতেও পায় না। 



ভাবছি আমার ছেলে তো কতো টাকাই যাকাত-ফেতরা দেয়। সেখানে থেকে না হয় এই অসহায় মানুষটিকে কিছুটা সাহায্য করবো ভেবে তার ঠিকানাটা বের করে চোখের সামনে ধরলাম। কিন্তু এ কি এ আমি কি দেখছি যাকে ৪০ বছর ধরে খুঁজছি তাঁকে কাছে পেয়েও হারালাম সব গল্পতেই এমন টানটান উত্তেজনা রয়েছে।  

বইটি পাবেন অমর একুশে বইমেলায় প্রতিভা প্রকাশ এর ৬০০,৬০১,৬০২ নং স্টলে। বইটির মুদ্রিত মুল্য ৩০০ টাকা।২৫% কমিশনে ২২৫ টাকায় নিতে পারবেন। 


বই পড়ুন, প্রিয়জনকে বই উপহার দিন। বইয়ের চেয়ে ভালো উপহার অন্য কিছু হতে পারে না।

ভেড়ামারার সাংবাদিক চমন গাজী গুরুতর অসুস্থ। পিজি হাসপাতালে ভর্তি

 কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার সাংবাদিক চমন গাজী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (সাবেক আইপিজিএম‌আর) এ ভর্তি হয়েছেন। আজ চার দিন যাবত তিনি উক্ত হাসপাতালে ডাক্তার সাইমন মনসুর এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।


তিনি fibromyalgia রোগে আক্রান্ত বলে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। চিকিৎসকেরা তার শরীরে ক্যান্সার কোষ থাকতে পারে এমন অনুমানের ভিত্তিতে  fnac টেস্ট এর পরামর্শ দিয়েছেন।

চমন গাজী ভেড়ামারা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য এবং সে দৈনিক মাতৃভূমির খবরের ভেড়ামারা প্রতিনিধি।

তার অসুস্থতার খবরে ভেড়ামারার সাংবাদিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। তার রোগ মুক্তি কামনায় সহযোদ্ধা সাংবাদিকগণ সকলের নিকটে দোয়া কামনা করেছেন।

সহকর্মীদের সাথে সাংবাদিক চমন গাজী

ভেড়ামারা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় হীরক জয়ন্তী উদযাপন নিয়ে নানা গুঞ্জন

 ভেড়ামারা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠান নিয়ে নানা গুঞ্জন

আগামী ২৮শে জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে স্থানীয় একটি ফুড পার্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হীরক জয়ন্তীর অনুষ্ঠান। কিন্তু অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় হলো এই যে, এই তথাকথিত অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে কোন কিছুই অবগত নন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হক। জানা গেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পাশ কাটিয়ে একটি মহল নিজেদের  স্বার্থে একতরফাভাবে হীরক জয়ন্তীর উদযাপনের তারিখ ও ভেন্যূ নির্ধারন করেছে। এই খবরে এলাকায় ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। 



বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এই হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে একটি মনগড়া কমিটি করে অর্থ সংগ্রহ করেছে। এই অর্থ ঠিক মত ব্যাংকে জমা প্রদান না করে নিজেদের কাছে তা রেখে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জন প্রতি ১ হাজার টাকা করে মোট ৪৪২ জন প্রাক্তন ছাত্রী রেজিষ্ট্রেশন করিয়েছেন। কিন্তু রুপালী ব্যাংক লিঃ ভেড়ামারা শাখার ব্যাংক স্টেটমেন্ট সূত্রে জানা যায়, ২৪ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে HEROK JOYONTEE GOVT BHERAMARA SEC GIRLS SCHOOL নামে একটি সঞ্চয়ী হিসাব যাহার নম্বর 5371010006864 ৩০ জুন ২০২২ তারিখে ১ম ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৮৪৩ টাকা জমা দেয়া হয়। এরপর কয়েক দফা ১১ ই জানুয়ারী ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত উক্ত হিসাবে ২ লক্ষ ৬০ হাজার ৯৪৭ টাকা ব্যালান্স ছিল। 

ব্যাংকের উক্ত একাউন্টকে পূঁজি করে হীরক জয়ন্তীকে উপলক্ষ করে এবং বিদ্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে সহজ=সরল মানুষদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। সূত্র গুলো জানাচ্ছে, ১৪ ই আগষ্ট ২০১৯ তারিখে  ১০ সদস্য বিশিষ্ট হীরক জয়ন্তী উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ভেড়ামারার সম্ভ্রান্ত, শিক্ষিত ও সম্মানিত ব্যক্তিদের নাম থাকলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অংশগ্রহন নেই। এমতাবস্থায় এই কমিটি গত ১১ ই জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে ব্যাংক থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে ২৮ জানুয়ারী অনুষ্ঠানের দিন ঘোষনা করে। উক্ত অনুষ্ঠান বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে না করে ভিন্ন একটি স্থানে করা রহস্যের জন্ম দিয়েছে। এব্যাপারে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মুখোমুখি হলে তিনি বলেন, হীরক জয়ন্তী উদযাপনের বিষয়ে তিনি কোন কিছু জানেননা। অফিসিয়ালি কোন কাজ সম্পন্ন করা হয়নি। কে কিভাবে কোন স্থানে স্কুলের নাম ভাঙিয়ে কোন অনুষ্ঠান করলে আমরা কোনভাবেই তার দায়-দায়ীত্ব নেবোনা। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হোসনেয়ারা পারভিন বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করেনি আয়োজক কমিটি। অনুষ্ঠানটি অংশগ্রহনমূলক না হওয়ায় আমরা এতে সম্মতি দিতে পারছি না। তাছাড়া অনুষ্ঠান আযোজনকে ঘিরে কমিটির সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয়েছে।হিীরক জয়ন্তী উদযাপন কমিটির নীরিক্ষা কমিটির আহ্বায়ক রুখসানা লাকি’র মুখোমুখি হলে তিনি এ সংক্রান্ত কোনরুপ হিসাব-নিকাশ বা জমা-খরচ তার কাছে নেই বলে প্রতিবেদককে জানান। ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজের সাথে মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ সংক্রান্তে তাকে একটি আমন্ত্রণপত্র দেয়া হয়েছে। তবে এর বেশি কিছু তিনি জানেন না। 

এদিকে নিজেদেরকে আয়োজক দাবি করে ২৮ তারিখের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দিয়ে বেড়াচ্ছে মর্মে জানা গেছে। অন্যদিকে উক্ত বিদ্যালয়ের নামে ফেসবুক আইডি খুলে তাতে হীরক জয়ন্তীর অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। এব্যাপারে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ফেসবুকে তাদের কোন আইডি নাই। কে কিভাবে ফেসবুকে বিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে তা তাদের জানা নেই।


সব মিলিয়ে ভেড়ামারার ঐতিহ্যবাহী ও সদ্য সরকারিকরণের আওতায় আসা ভেড়ামারা সরকারি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দিকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও শিক্ষা বিভাগের বিশেষ নজর দেয়ার প্রয়োজনীয়তার তাগিদ অনুভব করছেন সচেতন মহল।

বিদ্যার দেবী সরস্বতী

 হিন্দু ধর্মে জ্ঞান, সঙ্গীত, শিল্পকলা, বাক্য, প্রজ্ঞা ও বিদ্যার্জনের দেবী হল সরস্বতী। সরস্বতী, লক্ষী ও পার্বতী হিদুধর্মে ত্রিদেবী নামে পরিচিত। সরস্বতী অনেক রুপ ধারন করতে পারেন তাই তার আরেক নাম শতরুপা। সারদা, ইলা, মহাশ্বেতা, বীণাপানি, বীণাবাদিনী, ভারতী, বাণী, বাগদেবী নামেও ডাকা হয় সরস্বতীকে।

শিব তার সহোদর আর ব্রক্ষ্মা তার সঙ্গী।




হিন্দু ছাড়াও পশ্চিম ও মধ্য ভারতের জৈন ধর্মাবলম্বী সরস্বতী পুজা পালন করেন। আবার বৌদ্ধ ধর্মের কোন কোন সম্প্রদায় সরস্বতী পুজা পালন করে।

ঋদবেদের মতে সরস্বতী হলে মাতৃকাগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, নদীগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং দেবীগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।

আজ সরস্বতী পুজা।

মানবিকতার ছোঁয়াতে ছেয়ে যাক বিশ্ব।

শুভকামনা।



ভেড়ামারায় এস আই বি এল এর উপ শাখার উদ্বোধন

আজ বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এসআইবিএল এর উপ শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভেড়ামারা উপজ...

সংবাদ সর্বক্ষণ