ভেড়ামারায় বিট ও কমিউনিটি পুলিশিং এর সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ার  ভেড়ামারা থানা পুলিশের আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে বিট ও কমিউনিটি পুলিশিং এর সমাবেশ ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ভেড়ামারা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আকিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশের সভাপতি ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান মিঠু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেক্সোনা খাতুন, ভেড়ামারা উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদস্য সচিব আনোয়ারুল আজিম, কেন্দ্রীয় জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল আলীম স্বপন, ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র আনোয়ারুল কবির টুটুল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা মঞ্চে বিশেষ অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন ও বক্তব্য দেন। সমাবেশে উপস্থিত সমাজের বিভিন্ন স্তরের গণমানুষের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিবর্গ ওপেন হাউজ বক্তব্য রাখার সুযোগ পান। 



অনুষ্ঠানে ধরমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক, চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন, মোকারিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, ভেড়ামারা প্রেসক্লাবের সভাপতি ডাঃ আমিরুল ইসলাম মান্নান, সাধারন সম্পাদক বাবলু মোস্তাফিজ সহ সকল ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। বিকাল ০৩.০০ টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রধান অতিথির আগমণে বিলম্ব হেতু নির্ধারিত সময় থেকে খানিকটা দেরিতে অনুষ্ঠান শুরু হয়।



 এর আগে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার ভেড়ামারা থানা প্রাঙ্গণে পৌছালে তাকে  ফুলেল শুভেচ্ছায় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের নিরিখে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার উপর আলোকপাত করেন। প্রধান আতিথি তার বক্তব্যে বিট ও কমিউনিটি পুলিশিংকে গতিশীল করতে জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আরো বলেন, স্মার্ট সিটিজেন ও স্মার্ট কমিউনিটি গড়ে তুলতে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম খুবই ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে পারে। এসপি খাইরুল আলম আরো বলেন, দেশ ও জাতি আজ কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম গঠনের সুফল পেতে শুরু করেছে। সমাজ থেকে মাদক, বাল্য বিবাহ, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, এসিড নিক্ষেপসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড দৃশ্যতঃ অনেক কমে গেছে। পুলিশ ও জনতার সেতু বন্ধনের কার্যকর অবদান রেখে চলেছে এই ফোরাম।

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে মুখর ভেড়ামারা

 শীর্ষ স্থানীয় একটি জাতীয় সংবাদপত্রে আওয়ামীলীগ ও জাসদকে দোষারোপ করে মনগড়া প্রতিবেদনের প্রতিবাদ এবং প্রাসঙ্গিক দু’টি কথা

মনোয়ার হোসেন মারুফ #



“কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় মিলে মিশে পদ্মার বালু উত্তোলন” শিরোনামে গতকাল মঙ্গলবার একটি শীর্ষ জাতীয় দৈনিকে প্রথম পাতায়, “ইজারা ছাড়াই তিন ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ ও জাসদের নেতারা মিলে প্রতিদিন অবৈধভাবে মাটি ও বালু তুলছেন বলে অঅভিযোগ পাওয়া গেছে” মর্মে সূচনা বক্তব্য দিয়ে একটি ফরমায়েশি প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে দেখা গেঝে। উক্ত প্রতিবেদনের বিষয়টি জানাজানি হলে পত্রিকাটির স্থানীয় পাঠক ও আওয়ামীলীগ এবং জাসদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। প্রতিবেদনে ধান ভানতে শীবের গীত গাওয়া হয়েছে। স্থানীয় শাসক দলগুলোর নাম উল্লেখ করে দলীয় বদনাম করা হলেও উক্ত দল দুটির কোন পর্যায় থেকে বালু তোলার নির্দেশ এসেছে তার উল্লেখ করেননি প্রতিবেদক।এহেন বক্তব্যধর্মী বিশাল প্রতিবেদনে উপজেলা আওয়ামীলীগ ও জাসদের উপজেলা কমিটির সভাপতি-সাধারন সম্পাদকের বক্তব্য নেওয়ার দরকার থাকলেও প্রতিবেদক তাদের বক্তব্য গ্রহন বা প্রকাশের বিষয়টিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বেমালুম চেপে গেছেন। ভাল্লুকের হাতে খুন্তি গেলে যেমনটা হয় প্রতিবেদক ঠিক তেমনভাবে তার প্রতিবেদনে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নামে বিষোদগার করা ছাড়াও শ্রমিক ইউনিয়নের নামেও বিষোদগার করেন। তিনি ভেড়ামারা উপজেলার ৩/৪ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নাম উল্লেখ করেছেন। কে কার নামে সাইট দেখাশোনা করছে সেই বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করেছেন। তবে তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে প্রত্যক্ষ কোন প্রমান দিতে পারেননি। 

ভেড়ামারার কয়েকটি স্থান থেকে বালু উত্তোলন হচ্ছে একথা সত্য। তবে এর সাথে কারা জড়িত সে বিষয়ে অনুসন্ধানটি বস্তুনিষ্ঠ রুপে উপস্থাপিত হয়নি। এতে পত্রিকাটির ভাবমূর্তি স্থানীয় সচেতন মহলে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। 

উল্লেখ্য, মাটি ও বালু উত্তোলনের প্রতিবেদনে নানা অসঙ্গতি, তথ্য ঘাটতির সাথে মূল বিষয়টিকে ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য অপ্রাসঙ্গিক তথ্যের অবতারনা করেছেন প্রতিবেদক। যেমন তিনি প্রতিবেদনের এক জায়গায় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও খুনোখুনির বিষয়ে লিখেছেন। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, বর্তমান মাটি ও বালু উত্তোলনের ঘটনার সাথে হত্যাকান্ডের কোন সম্পৃক্ততা নেই। বিষয়টিকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিবেদকের এই কৌশল অবলম্বন সুস্থ্য সাংবাদিকতার দর্শনের সাথে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন বিদগ্ধ পাঠককুল। সব মিলিয়ে উপসংহারে বলা যায়, প্রতিবেদনে চমক আছে কিন্তু বস্তু নেই।ঘটনাকে পূঁজি করে দোষারোপ সীমা ছাড়িয়ে গেছে। রাজনৈতিক দল, শ্রমিক ইউনিয়নসহ সম্মানিত ও নির্দোষ ব্যক্তিবর্গকে খামোখা হেয় প্রতিপন্ন করাটাই যেন কোন প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য না হয়। এব্যাপারে সংশ্লিষ্টদেরকে সচেতন থাকা উচিত। এমনটাই অভিমত সচেতন সমাজের।

এদিকে ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা এব্যাপারে একটি প্রতিবাদ লিপি  স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট সরবরাহ করেছেন। প্রতিবাদলিপিতে উক্ত নেতার স্বাক্ষর আছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ভেড়ামারা উপজলো শাখার প্যাডে লিখিত প্রতিবাদলিপি হুবহু নিম্নে তুলে ধরা হলো-

“গতকাল মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকে “আ’লীগ ও জাসদ নেতারা মিলেমিশে পদ্মার বালু লুট” শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আমাকে জড়িয়ে যে তথ্য প্রকাশ করেছে, যা শতভাগ ভিত্তিহীন, মিথ্যা বানোয়াট ও অসত্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কোন স্বার্থান্বেষী মহল প্রতিবেদককে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করিয়ে আমার পারিবারিক, সামাজিক ও সুদৃঢ় রাজনৈতিক ভাবমূর্তি কালিমা লিপ্ত করতে নানামুখী অপতৎপরতা ও গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সঙ্গত কারনেই আমি (আলহাজ্ব শামিমুল ইসলাম ছানা) অত্যন্ত দ্ব্যার্থহীনভাবে কথিত বালু উত্তোলনের সাথে আমার সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি প্রকাশিত প্রতিবেদনের অভিযোগ সমূহের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

এছাড়া ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ আক্তারুজ্জামান মিঠু সন্ধ্যায় ভেড়ামারা প্রেসক্লাবে একই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

পুঠিয়ার রাজবাড়ি প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের নিদর্শন

কথিত আছে পুঠিয়ার রাজা এক সমরে শত্রু পক্ষ কর্তৃক চরমভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিপদ সংকুল মুহূর্তে উঠিয়া নামে একজন দাসী কৌশলে শত্রুপক্ষের হাত থেকে রাজার জীবন বাঁচাতে সহযোগিতা করেন। সেই দাসীর নাম ছিল পুঠিয়া। পুঠিয়ার রাজা এই রাজবাড়ি নির্মাণ করেন।

বাংলার প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের মধ্যে রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ী অন্যতম।১৮৯৫ সালে মহারানী হেমন্তকুমারী দেবী আকর্ষনীয় ইন্দো ইউরোপীয় স্থাপত্যরীতিতে আয়তাকার দ্বিতল বর্তমান রাজবাড়ীটি নির্মিত হয়।‌



পুঠিয়া রাজবাড়ির আশে পাশে ছয়টি রাজদিঘী আছে। প্রত্যেকটা দিঘীর আয়তন ছয় একর করে। মন্দিরও আছে ছয়টি। আছে সবচেয়ে বড় শিব মন্দির। এ ছাড়া আছে রাধাগোবিন্দ মন্দির, গোপাল মন্দির, গোবিন্দ মন্দির, দোলমঞ্চ ইত্যাদি। প্রতিটি মন্দিরের দেয়ালেই অপূর্ব সব পোড়ামাটির ফলকের কারুকাজ। জোড়বাংলা মন্দির, বাংলো মন্দির, পঞ্চরত্ন অর্থাৎ চূড়াবিশিষ্ট মন্দির অর্থাৎ বাংলার বিভিন্ন গড়নরীতির মন্দিরগুলোর প্রতিটিই আকর্ষণীয়। এ ছাড়া রানির স্নানের ঘাট, অন্দর মহল মিলিয়ে বিশাল রাজবাড়ি। প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্বের সাথে এই রাজবাড়ীটি দর্শনার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্ব বহন করে।

প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু

ভেড়ামারা-প্রাগপুর সড়কের সাতবাড়ীয়া দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসা নামক স্থানে রাস্তা পারাপারের সময় পটাং গাড়ীর ধাক্কায় বাকু (৫৫) নামে চাটাই ব্যাবসায়ী নিহত‌ হয়েছেন। নিহত বাচ্চু মিয়া বাকু সাতবাড়িয়া মন্ডল পাড়া গ্রামেই থাকতেন। তিনি ঘটনাস্থলের পাশে বাঁশ-চাটাই এর ব্যবসা করতেন। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, নিহত বাচ্চু মিয়া বাকু প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে সড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি স্যালো ইঞ্জিন চালিত পটাং গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। সে সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। 




ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের সাব অফিসার আজিজুল হক বলেন, স্যালো ইঞ্জিন চালিত পটাং গাড়ির ধাক্কায় বাচ্চু মিয়া নামে এক ব্যক্তি আহত হয়। আমরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ভেড়ামারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আকিবুল ইসলাম  বলেন, পটাং এর ধাক্কায় বাকু নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। চালক পালিয়েছে। পটাং গাড়িটিকে জব্দ  করে ভেড়ামারা থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। । গ্রামের বাড়ী মাগুড়া হলেও দীর্ঘ ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে পরিবার নিয়ে সাতবাড়ীয়াতেই থাকতেন।  তার ৩ ছেলে মিঠুন, মিতুল ও লিটন  ৩ জনই বিদেশে রয়েছেন। ১ ছেলে কুয়েত এবং ২ ছেলে সৌদি আরবে। তার স্ত্রী রয়েছে আরব আমিরাতে। তিনি এখানে একাই থাকতেন। বাচ্চু মিয়া বাকুর লাশ দেশের বাড়ি মাগুরা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনে ফলাফল পুনঃর্বিবেচনার জন্য হাইকোর্টে যাবেন হিরো আলম

 নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় ফলাফল পুনরবিবেচনার জন্য হাইকোর্টে যাবেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের উপ নির্বাচনে বগুড়ার দুটি আসন থেকে এমপি নির্বাচন করেছেন। হিরো আলম একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং সমাজের নিম্ন পর্যায় থেকে উঠে আসা সফল ব্যক্তিদের একজন। একাডেমিক শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও প্রকৃতি প্রদত্ত মেধা ও যোগ্যতার বলে তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে এবং ইউটিউব ফেসবুকে ভিডিও তৈরি করে অর্থ কড়ির মানুষ হয়েছেন।

সেই সুবাদে গণমানুষের মধ্যে অর্জন করেছেন জনপ্রিয়তা। গত ১ ফেব্রুয়ারি তারিখে বগুড়া সদর এবং কাহালু -নন্দীগ্রাম সংসদীয় আসন থেকে উপ নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি প্রচন্ড আশাবাদী ছিলেন। মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার ছড়িয়ে পড়ে যে হিরো আলম নির্বাচনে জিতে যাচ্ছেন। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায় যে সামান্য কিছু ভোটের ব্যবধানে হিরো আলম পরাজিত হয়েছেন।



ভোটে পরাজিত হবার পরদিন দুই ফেব্রুয়ারি তারিখে হিরো আলম মিডিয়াকে জানান তিনি এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারচুপি করে তার বিজয়কে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরো বলেন ইভিএম মেশিনে একপ্রতিকে ভোট দিলে আরেক প্রতীকে চলে যায়। ইভিএম মেশিনে ভোট সুষ্ঠু হয় না। হিরো আলম একতারা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন এবং তিনি মশাল প্রতীকের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। হিরো আলম বলেন তিনিই বিজয়ী হয়েছেন। তার এজেন্টদের নির্বাচন কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন তার এজেন্ট দের ফলাফলের সিট সরবরাহ করা হয়নি। নন্দীগ্রামের ৪৯ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৯ টি কেন্দ্রের ফলাফল আসার পরে বাকি ১০ টি কেন্দ্রের পৃথক ফলাফল ঘোষণা না করে একযোগে ঘোষিত ফলাফলে তাকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। গতকাল 2 ফেব্রুয়ারি তারিখে তিনি নির্বাচন অফিসে উপস্থিত হয়ে নির্বাচন অফিসারের সাথে সাক্ষাৎ করে সকল কেন্দ্রের ফলাফল সিট গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি নির্বাচন অফিসার সহ সেখানে উপস্থিত সবাইকে মিষ্টি খাওয়ান।

হাইকোর্টে গেলে তিনি এর কোন সুরাহা পাবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এর আগেও নির্বাচনে নানা জটিলতার বিষয়ে তিনি হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন এবং সুবিচার পেয়েছেন।

ভেড়ামারায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার পান‌ বরজে আগুন

 ভেড়ামারার পাটুয়াকান্দীত  উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা তালেবুর রহমান টুকুর পান বরজে শত্রুতাবশতঃ আগুন  ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুড়ে  ছাই হয়ে গেছে ৫ কাঠা জমির পান। 




রাত ৭ টার দিকে পাটুয়াকান্দিতে তালেবুর রহমান টুকুর ২ বিঘার পান বরজে ডিজেল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। 


ঘটনাস্থলের নিকট দিয়ে পথ চলতি মোঃ সাদেক আলী পান বরজে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার শুরু করলে আশে পাশের মানুষ ছুটে এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে নেন। 



ততো


ক্ষণে ৫ কাঠা পরিমান জমির পান পুড়ে যায়। 

সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ ।



সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পানের গায়ে ডিজেল ছিটানো রয়েছে। 


তালেবুর রহমান টুকু জানান পূর্বশত্রুতার জের ধরেই

আমার পান বরজে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। 

তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত বিচারের দাবি করেন তিনি।

আজ পহেলা ফেব্রুয়ারী । বাঙালী প্রাণের ভাষার মাস !!

 মনোয়ার হোসেন মারুফ #

 আজ পহেলা ফেব্রুয়ারী। ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম দিন।  এই মাসটি বাঙালীর কাছে প্রাণের মাস। এই মাসটির ২১ তারিখ বাঙালী জাতির ইতিহাসে এক মহা মূল্যবান সংযোজন।  ২১ শে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। জাতীয়ভাবে দিবসটি পালন উপলক্ষে নেয়া হয় নানা কর্মসূচী। জাতীয় শোক দিবস হওয়ায় ঐদিন জাতীয় পাকা থাকে অর্ধনমিত। ফেব্রুয়ারী তাই শোকের মাস হিসেবে পরিচিত। এটি একটি ঐতিহাসিক মর্যাদা ও ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত দিন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারীর মর্যাদা বিশ্ব পরিমন্ডলে বিস্তৃত হয়েছে। বাঙালীর গর্ব ও অহংকারের দিনও এটি। ভাষা দিবস হিসেবেও দিবসটির পরিচিতি আছে। ১৯৫২ সালে পশ্চিম পাকিস্তানীগণ কর্তৃক শাসিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশের দামাল ও অকুতোভয় ছেলেরা নিজেদের মাতৃভাষা রক্ষার তাগিদে রাজপথে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে “রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই” শ্লোগানে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে মিছিল করেন। দাবি আদায়ের উক্ত মিছিল-সমাবেশগুলোতে পাকিস্তানী বর্বর পুলিশের নিক্ষিপ্ত তপ্ত বুলেটে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিকসহ আরো অনেকে শহীদ হন। তাদের মহান আত্মত্যাগে বেগবান ভাষা আন্দোলন অপ্রতিহত এক আন্দোলনে রুপ নেয়। একসময় পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী বাংলা ভাষাকে যথার্থ স্বীকৃতি দিলে এই আন্দোলন সফল এক আন্দোলন হিসেবে ইতিহাসে স্থান পায়। ভাষা আন্দোলনের সঞ্জিবনী শক্তিই পরবর্তীতে বাঙ্গালী জাতিকে আত্ম চেনা এক জাতিতে পরিণত করে। এরই ধারাবাহিকতায় অনেক ত্যাগ-তীতিক্ষার মাধ্যমে ১৯৭১ সালে পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করে বিশ্বের বুকে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যূদয় ঘটে।


দ্বিজাতিত্ব এর ভিত্তিতে পাক-ভারত সীমানা চিহ্নিত হওয়ার পর পাকিস্তানের ঊর্দূ ভাষী শাসকগোষ্ঠী চেয়েছিল ঊর্দূকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করতে। কিন্তু বাঙালী ছাত্র-কৃষকসহ আমজনতা পাকিস্তান শাসকদের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান ও রুখে দেয়ার জন্য মরণপণ লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এই লড়াইয়ের মাঠে প্রাণ দেন জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা। তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে গড়ে ওঠে শহীদ মিনার।  প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারী ভোরে এই মহীদ মিনারে শ্রদ্ধা ও মমতায় পূষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতি বীর ভাষা শহীদদের অমর করে রাখে। বাঙালী জাতি বিশ্বাস করে ভাষা মানে তাদের অস্তিত্ব। এই ভাষা হারিয়ে গেলে বাঙালী তার ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলবে। অস্তিত্ব রক্ষা ও সময়ের প্রয়োজনে  ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারীর গর্বিত আত্মত্যাগ অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিশ্বের বুকে সেদিন বাঙালী জাতি এক সাহসী ও প্রতিবাদী জাতি হিসেবে নিজেদেরকে নতুনভাবে জানান দিয়েছিল। সেদিন শাসকের রক্তচোক্ষু স্তব্ধ করে দিয়েছিল এই বাংলার দামাল ছেলেদের প্রত্যয়ী মনোভাব। ২১ শে ফেব্রুয়ারীকে নিয়ে  বাঙালী কবি সাহিত্যিকেরা রচনা করেছেন অসংখ্য কবিতা, গান ও প্রবন্ধ। যা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে করেছে সমৃদ্ধ। আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী গানটি এই দিবসটিকে নিয়ে রচিত সর্বাধিক জনপ্রিয় গান। এই গান গাইতে গাইতেই প্রভাত ফেরি করে শহীদ মিনারের দিকে ফুল হাতে আজো ছুটে চলেছে বাঙালী। ভাই হারানোর শোক বুকে নিয়ে আজো বাঙালী বয়ে বেড়াচ্ছে সেই আবেগঘণ স্মৃতি। ভাষা শহীদদের এই রক্তঋণ কোনদিন শোধ হবেনা। এই দিনটির কল্যাণে পুরো ফেব্রুয়ারী মাসটি বাঙালীর কাছে বছরের অন্য ১১ টি মাসের চেয়ে একটু ভিন্ন আবেদন বহন করে।

 

 

 

ভেড়ামারায় এস আই বি এল এর উপ শাখার উদ্বোধন

আজ বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এসআইবিএল এর উপ শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভেড়ামারা উপজ...

সংবাদ সর্বক্ষণ