প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু

ভেড়ামারা-প্রাগপুর সড়কের সাতবাড়ীয়া দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসা নামক স্থানে রাস্তা পারাপারের সময় পটাং গাড়ীর ধাক্কায় বাকু (৫৫) নামে চাটাই ব্যাবসায়ী নিহত‌ হয়েছেন। নিহত বাচ্চু মিয়া বাকু সাতবাড়িয়া মন্ডল পাড়া গ্রামেই থাকতেন। তিনি ঘটনাস্থলের পাশে বাঁশ-চাটাই এর ব্যবসা করতেন। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, নিহত বাচ্চু মিয়া বাকু প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে সড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় একটি স্যালো ইঞ্জিন চালিত পটাং গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। সে সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। 




ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের সাব অফিসার আজিজুল হক বলেন, স্যালো ইঞ্জিন চালিত পটাং গাড়ির ধাক্কায় বাচ্চু মিয়া নামে এক ব্যক্তি আহত হয়। আমরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ভেড়ামারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আকিবুল ইসলাম  বলেন, পটাং এর ধাক্কায় বাকু নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। চালক পালিয়েছে। পটাং গাড়িটিকে জব্দ  করে ভেড়ামারা থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। । গ্রামের বাড়ী মাগুড়া হলেও দীর্ঘ ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে পরিবার নিয়ে সাতবাড়ীয়াতেই থাকতেন।  তার ৩ ছেলে মিঠুন, মিতুল ও লিটন  ৩ জনই বিদেশে রয়েছেন। ১ ছেলে কুয়েত এবং ২ ছেলে সৌদি আরবে। তার স্ত্রী রয়েছে আরব আমিরাতে। তিনি এখানে একাই থাকতেন। বাচ্চু মিয়া বাকুর লাশ দেশের বাড়ি মাগুরা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

নির্বাচনে ফলাফল পুনঃর্বিবেচনার জন্য হাইকোর্টে যাবেন হিরো আলম

 নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় ফলাফল পুনরবিবেচনার জন্য হাইকোর্টে যাবেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের উপ নির্বাচনে বগুড়ার দুটি আসন থেকে এমপি নির্বাচন করেছেন। হিরো আলম একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং সমাজের নিম্ন পর্যায় থেকে উঠে আসা সফল ব্যক্তিদের একজন। একাডেমিক শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও প্রকৃতি প্রদত্ত মেধা ও যোগ্যতার বলে তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে এবং ইউটিউব ফেসবুকে ভিডিও তৈরি করে অর্থ কড়ির মানুষ হয়েছেন।

সেই সুবাদে গণমানুষের মধ্যে অর্জন করেছেন জনপ্রিয়তা। গত ১ ফেব্রুয়ারি তারিখে বগুড়া সদর এবং কাহালু -নন্দীগ্রাম সংসদীয় আসন থেকে উপ নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি প্রচন্ড আশাবাদী ছিলেন। মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার ছড়িয়ে পড়ে যে হিরো আলম নির্বাচনে জিতে যাচ্ছেন। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায় যে সামান্য কিছু ভোটের ব্যবধানে হিরো আলম পরাজিত হয়েছেন।



ভোটে পরাজিত হবার পরদিন দুই ফেব্রুয়ারি তারিখে হিরো আলম মিডিয়াকে জানান তিনি এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারচুপি করে তার বিজয়কে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরো বলেন ইভিএম মেশিনে একপ্রতিকে ভোট দিলে আরেক প্রতীকে চলে যায়। ইভিএম মেশিনে ভোট সুষ্ঠু হয় না। হিরো আলম একতারা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন এবং তিনি মশাল প্রতীকের প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। হিরো আলম বলেন তিনিই বিজয়ী হয়েছেন। তার এজেন্টদের নির্বাচন কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন তার এজেন্ট দের ফলাফলের সিট সরবরাহ করা হয়নি। নন্দীগ্রামের ৪৯ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৯ টি কেন্দ্রের ফলাফল আসার পরে বাকি ১০ টি কেন্দ্রের পৃথক ফলাফল ঘোষণা না করে একযোগে ঘোষিত ফলাফলে তাকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। গতকাল 2 ফেব্রুয়ারি তারিখে তিনি নির্বাচন অফিসে উপস্থিত হয়ে নির্বাচন অফিসারের সাথে সাক্ষাৎ করে সকল কেন্দ্রের ফলাফল সিট গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি নির্বাচন অফিসার সহ সেখানে উপস্থিত সবাইকে মিষ্টি খাওয়ান।

হাইকোর্টে গেলে তিনি এর কোন সুরাহা পাবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এর আগেও নির্বাচনে নানা জটিলতার বিষয়ে তিনি হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছেন এবং সুবিচার পেয়েছেন।

ভেড়ামারায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার পান‌ বরজে আগুন

 ভেড়ামারার পাটুয়াকান্দীত  উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা তালেবুর রহমান টুকুর পান বরজে শত্রুতাবশতঃ আগুন  ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুড়ে  ছাই হয়ে গেছে ৫ কাঠা জমির পান। 




রাত ৭ টার দিকে পাটুয়াকান্দিতে তালেবুর রহমান টুকুর ২ বিঘার পান বরজে ডিজেল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। 


ঘটনাস্থলের নিকট দিয়ে পথ চলতি মোঃ সাদেক আলী পান বরজে আগুন জ্বলতে দেখে চিৎকার শুরু করলে আশে পাশের মানুষ ছুটে এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে নেন। 



ততো


ক্ষণে ৫ কাঠা পরিমান জমির পান পুড়ে যায়। 

সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ ।



সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পানের গায়ে ডিজেল ছিটানো রয়েছে। 


তালেবুর রহমান টুকু জানান পূর্বশত্রুতার জের ধরেই

আমার পান বরজে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। 

তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত বিচারের দাবি করেন তিনি।

আজ পহেলা ফেব্রুয়ারী । বাঙালী প্রাণের ভাষার মাস !!

 মনোয়ার হোসেন মারুফ #

 আজ পহেলা ফেব্রুয়ারী। ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম দিন।  এই মাসটি বাঙালীর কাছে প্রাণের মাস। এই মাসটির ২১ তারিখ বাঙালী জাতির ইতিহাসে এক মহা মূল্যবান সংযোজন।  ২১ শে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। জাতীয়ভাবে দিবসটি পালন উপলক্ষে নেয়া হয় নানা কর্মসূচী। জাতীয় শোক দিবস হওয়ায় ঐদিন জাতীয় পাকা থাকে অর্ধনমিত। ফেব্রুয়ারী তাই শোকের মাস হিসেবে পরিচিত। এটি একটি ঐতিহাসিক মর্যাদা ও ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত দিন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারীর মর্যাদা বিশ্ব পরিমন্ডলে বিস্তৃত হয়েছে। বাঙালীর গর্ব ও অহংকারের দিনও এটি। ভাষা দিবস হিসেবেও দিবসটির পরিচিতি আছে। ১৯৫২ সালে পশ্চিম পাকিস্তানীগণ কর্তৃক শাসিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশের দামাল ও অকুতোভয় ছেলেরা নিজেদের মাতৃভাষা রক্ষার তাগিদে রাজপথে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে “রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই” শ্লোগানে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে মিছিল করেন। দাবি আদায়ের উক্ত মিছিল-সমাবেশগুলোতে পাকিস্তানী বর্বর পুলিশের নিক্ষিপ্ত তপ্ত বুলেটে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিকসহ আরো অনেকে শহীদ হন। তাদের মহান আত্মত্যাগে বেগবান ভাষা আন্দোলন অপ্রতিহত এক আন্দোলনে রুপ নেয়। একসময় পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী বাংলা ভাষাকে যথার্থ স্বীকৃতি দিলে এই আন্দোলন সফল এক আন্দোলন হিসেবে ইতিহাসে স্থান পায়। ভাষা আন্দোলনের সঞ্জিবনী শক্তিই পরবর্তীতে বাঙ্গালী জাতিকে আত্ম চেনা এক জাতিতে পরিণত করে। এরই ধারাবাহিকতায় অনেক ত্যাগ-তীতিক্ষার মাধ্যমে ১৯৭১ সালে পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করে বিশ্বের বুকে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যূদয় ঘটে।


দ্বিজাতিত্ব এর ভিত্তিতে পাক-ভারত সীমানা চিহ্নিত হওয়ার পর পাকিস্তানের ঊর্দূ ভাষী শাসকগোষ্ঠী চেয়েছিল ঊর্দূকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করতে। কিন্তু বাঙালী ছাত্র-কৃষকসহ আমজনতা পাকিস্তান শাসকদের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান ও রুখে দেয়ার জন্য মরণপণ লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এই লড়াইয়ের মাঠে প্রাণ দেন জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা। তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে গড়ে ওঠে শহীদ মিনার।  প্রতি বছর ২১ শে ফেব্রুয়ারী ভোরে এই মহীদ মিনারে শ্রদ্ধা ও মমতায় পূষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতি বীর ভাষা শহীদদের অমর করে রাখে। বাঙালী জাতি বিশ্বাস করে ভাষা মানে তাদের অস্তিত্ব। এই ভাষা হারিয়ে গেলে বাঙালী তার ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলবে। অস্তিত্ব রক্ষা ও সময়ের প্রয়োজনে  ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারীর গর্বিত আত্মত্যাগ অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিশ্বের বুকে সেদিন বাঙালী জাতি এক সাহসী ও প্রতিবাদী জাতি হিসেবে নিজেদেরকে নতুনভাবে জানান দিয়েছিল। সেদিন শাসকের রক্তচোক্ষু স্তব্ধ করে দিয়েছিল এই বাংলার দামাল ছেলেদের প্রত্যয়ী মনোভাব। ২১ শে ফেব্রুয়ারীকে নিয়ে  বাঙালী কবি সাহিত্যিকেরা রচনা করেছেন অসংখ্য কবিতা, গান ও প্রবন্ধ। যা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে করেছে সমৃদ্ধ। আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী গানটি এই দিবসটিকে নিয়ে রচিত সর্বাধিক জনপ্রিয় গান। এই গান গাইতে গাইতেই প্রভাত ফেরি করে শহীদ মিনারের দিকে ফুল হাতে আজো ছুটে চলেছে বাঙালী। ভাই হারানোর শোক বুকে নিয়ে আজো বাঙালী বয়ে বেড়াচ্ছে সেই আবেগঘণ স্মৃতি। ভাষা শহীদদের এই রক্তঋণ কোনদিন শোধ হবেনা। এই দিনটির কল্যাণে পুরো ফেব্রুয়ারী মাসটি বাঙালীর কাছে বছরের অন্য ১১ টি মাসের চেয়ে একটু ভিন্ন আবেদন বহন করে।

 

 

 

ভেড়ামারায় উচ্ছেদ অভিযান। ভাঙ্গা পড়লো নর্দমার উপর স্থাপিত অসংখ্য অট্রালিকার দেয়াল ও গেট।

 মনোয়ার হোসেন মারুফ # কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আজ সোমবার সকাল ১০.০০ টা থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ভেড়ামারা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এই কার্যক্রম এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।  উচ্ছেদ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ক্রেন দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয় ড্রেনের জায়গার উপর স্থাপিত দেয়াল ও গেটসহ অন্যান্য স্থাপনা।কুষ্টিয়ার ভেড়ামার পৌর এলাকার দক্ষিণ রেলগেট থেকে শুরু করে বামনপাড়া ও চার রাস্তার মোড় হয়ে হিসনা নদী পর্যন্ত এই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হতে দেখা যায়। 



পৌর কর্তৃপক্ষ শহরে জলাবদ্ধতা দূর করার মহৎ উদ্দেশ্যে ড্রেন দখল মুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহন করে। জনদাবির ভিত্তিতে ও জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে অবৈধ দখলবাজদের কবল থেকে সরকারি সম্পত্তি মুক্ত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আইওডিপি প্রকল্পের আওতায় নর্দমা নির্মাণের জন্য ভেড়ামারা পৌরসভায় বাস্তবায়নের জন্য ৫ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা স্কীম অনুমোদিত হয়েছে।




 কিন্তু জায়গা জমি বেহাত অবস্থায় থাকায় এই স্কীম বাস্তবায়নের কাজ থমকে আছে। এমতাবস্থায়, পৌর কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বৈঠক আহ্বান করেন। সেই সাথে  সংশ্লিষ্ট দখলবাজদের প্রতি নোটিশ প্রদান করেন। শহরে মাইকিংও করা হয়। কিন্তু দখলবাজ বাড়ি-ঘরের মালিকেরা জায়গা ছেড়ে না দেয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষ আজকের এই মিশন পরিচালনা করার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। এব্যাপারে ভেড়ামারা পৌরসভার মেয়র আনোয়ারুল কবির টুটুল ডেইলি ভেড়ামারা ডট ব্লগ স্পটকে বলেন, ঠিকাদারকে সাইট বুঝিয়ে দেয়া ছাড়া আমাদের হাতে দ্বিতীয় কোন বিকল্প নেই। শহরে জলাবদ্ধতা দূর করা এটি গণদাবি। এই গণদাবি বাস্তবায়নের জন্যই ড্রেন নির্মানের স্কীম বাস্তবায়ন অত্যন্ত প্রয়োজন। 

এমতাবস্থায়, অবৈধভাবে যারা ড্রেন দখল করে গেট ও দেয়াল নির্মাণ করেছেন তাদের সেই অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয়া হচ্ছে। 

উল্লেখ্য এই উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভাঙা পড়লো অসংখ্য অট্রালিকাসম বিল্ডিংয়ের অবৈধভাবে নির্মিত সুরম্য দেয়াল ও নয়নাভিরাম গেট। যা নর্দমা দখল করে নির্মাণ করেছিলেন সুযোগ সন্ধানী দালান মালিকরা।

 

 

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শারমিন আঁখি অগ্নিদগ্ধ

 ছোট পর্দার বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শারমিন আখি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট দুর্ঘটনায় অভিনয়ের শুটিং চলাকালীন মুহূর্তে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি ঢাকাস্থ্য শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনষ্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তার শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন তার শরীরের বিশাল একটি অংশ আগুনে ঝলসে গেছে।‌ অভিনেত্রী শারমিন আঁখি শুটিং চলাকালীন ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।




চিকিৎসক ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শারমিন আখির  শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

গতকাল ২৮ জানুয়ারী শনিবার রাজধানীর মিরপুরে একটি টেলিফিল্মের শুটিংয়ের সময় শারমিন আঁখি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন উক্ত অভিনেত্রীর স্বামী  রাহাত কবির। 

উল্লেখ্য শারমিন আঁখি তার অভিনয়গুণে সম্প্রতি দেশব্যাপী দর্শকদের মনে বিপুল সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন। অগ্নি দগ্ধ হয়ে তার গুরুতর আহত হবার সংবাদে ভক্ত কুলের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।


অশীতিপর এক বৃদ্ধের জীবন সংগ্রাম !!

জীবন যুদ্ধ!  অশীতিপর এক বৃদ্ধের জীবন সংগ্রাম 
রাজু আহাম্মেদ# 
তাঁতের গামছা তৈরি ও ফেরি করে ক্রেতা খুঁজে সেই গামছা বিক্রি করে জীবন চলছে অশীতিপর এক  বৃদ্ধের জীবন। দারিদ্র্য বিমোচন নয় টিকে থাকার সংগ্রাম নিয়ে আমাদের আরেকটি প্রতিবেদন। এবারের প্রতিবেদন একজন জীবন সংগ্রামী মোকাদ্দেস আলীকে নিয়ে।



৮০ বছর বয়সের বৃদ্ধ মোকাদ্দেস আলী। বয়সের ভারে ভালো করে হাঁটতেও পারেন না তিনি। তবুও জীবিকার তাগিদে এখনো তাঁতে (hand loom) তৈরি করেন গামছা। এরপর কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় কাঁধে গামছা ভর্তি ব্যাগ ঝুলিয়ে ফেরি করে সেই গামছা বিক্রি করেন। তার চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে গেলেও তার আত্মবিশ্বাস সমুন্নত । মনোবল সুদৃঢ়। আর তাই ভিক্ষা না করে গামছা বিক্রি করে সংসার চালান তিনি। 


দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ হেঁটে হেঁটে গামছা বিক্রি করে আসছেন মোকাদ্দেস। এর আগে ছোটবেলা থেকে প্রায় ৪০ বছর পায়ের শক্তিতে চালিয়েছেন প্যাডেলের ভ্যান। বয়স বাড়লেও সবসময় কাজের সঙ্গে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তিনি। এই বয়সে বাড়িতে গামছা তৈরি করেন এবং সেই গামছা হাতে নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিনিয়ত ছুটে চলেন তিনি। কারোর দয়ার উপরে নির্ভরশীল না হয়ে। কারোর দুয়ারে দুয়ারে যেয়ে হাত না পেতে বৃদ্ধ বয়সে শারীরিক নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও সম্মানজনক জীবিকা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। তার এই স্বাধীনচেতা মনোভাবের জীবন সংগ্রাম পথ দেখাক আজকের তরুণদেরকে।

ভেড়ামারায় এস আই বি এল এর উপ শাখার উদ্বোধন

আজ বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এসআইবিএল এর উপ শাখার উদ্বোধন করা হয়েছে।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভেড়ামারা উপজ...

সংবাদ সর্বক্ষণ